মরনোত্তর একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মমতাজ উদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
 
                                
লালপুর (নাটোর): আজ ৬ জুন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাবেক সাংসদ, মরনোত্তর একুশে পদক প্রাপ্ত(২০২৩), বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ মমতাজ উদ্দিনের ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটিতে শহীদ মমতাজ উদ্দিনের পরিবার ও লারপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কবর জিয়ারত ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া, মমতাজ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পাঞ্জলি অর্পনসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘মুক্তিযুদ্ধে’ গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার(২০২৩) একুশে পদক পেয়েছেন নাটোরের লালপুর উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর)।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মমতাজ উদ্দিন, ইয়াকুল প্রামাণিক ও আবেজান বেগমের দ্বিতীয় পুত্র। ১৯৪৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুরের মিলকিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। উপজেলার করিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার লেখাপড়া শুরু হয়।
১৯৬৪ সালে চকনাজিরপুর হাই মাদ্রাসা (বর্তমনে হাই স্কুল) থেকে এসএসসি, নাটোর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঈশ্বরদী ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে ডিগ্রি পাশ করেন তিনি। ৬০ এর দশকে তিনি ছয় দফা আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। তখন থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন।
১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। লালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি সালামপুর হাইস্কুলে শিক্ষাকতা করেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন জননন্দিত নেতা ছিলেন। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
১৯৮৬ সালে নাটোর-১ লালপুর বাগাতিপাড়া আসনে তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালের ৬ জুন লালপুরের গোপালপুর উপজেলার গোপালপুর-আব্দুলপুর রোডের নেঙ্গুপাড়া নামক স্থানে দুবৃর্ত্তরা মমতাজ উদ্দিনের পথ রোধ করে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
তার মৃত্যুর পরে তার সহধর্মিণী শেফালী মমতাজ সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন তিনি। তার ছেলে শামীম আহমেদ সাগর বর্তমানে লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
What's Your Reaction?
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 









 
                                                                                                                                             
                                                                                                                                            

 
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            
