নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় পৌর কাউন্সিলরসহ আহত ৬
 
                                
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় নাটোর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রানা হোসেনসহ ৬ জন গুরুতর জখম হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে শহরের হরিশপুর বাস টার্মিনালে এই হামলার ঘটনায় রানা হোসেনের সহযোগী জাহিদুল, আশিক, মেজর, রবিন ও মাসুদ গুরুতর আহত হয়। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ সদর হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান।
আহতদের মধ্যে কাউন্সিলর রানা হোসেন, জাহিদুল, আশিক, রবিন ও মেজরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জাহিদুল ও আশিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে হরিশপুর বাস টার্মিনালে জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী (এহিয়া)সহ সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তারুল ইসলাম আলম, পৌর কাউন্সিলর রানা হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম কোয়েল তাদের কর্মী-সদস্যদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে কোয়েল ও রানার অনুসারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে উভয় পক্ষ ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এ সময় এতে ৬ জন আহত হন। অন্যান্য নেতাকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে প্রথমে জাহিদুল ও আশিকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রানা হোসেন, মেজর ও রবিনকেও রাজশাহী প্রেরণ করা হয়। তারা সকলেই স্থানীয় সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারী বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর রানা হোসেন জানান, শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি'র নির্দেশে তারা অবরোধ বিরোধী কর্মসূচিতে অংশ নিতে হরিশপুর এলাকায় যান। বাস টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কোয়েল সমর্থকরা তাদের ওপর ধারালো অস্ত্রসহ হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে রাশেদুল ইসলাম কোয়েল বলেন, কর্মসূচি পালনের সময় কাউন্সিলর রানা বিএনপি কর্মী মিলনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। বিএনপি নেতা মিলন রানার বোন জামাই। তাকে আনার কারণ জানতে চাইলে রানার সাথে তার ঝগড়া হয়। এ সময় হঠাৎ করে পেছন থেকে তার মাথায় আঘাত করা হয়। এর পর কি হয়েছে তা তিনি বলতে পারবেন না বলে জানান।
জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী (এহিয়া) বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই রানা ও কোয়েল গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। তবে কেউই থানায় অভিযোগ করেনি।
What's Your Reaction?
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 









 
                                                                                                                                             
                                                                                                                                             
                                                                                                                                            

 
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            
