নাটোরে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত
 
                                
লালপুর( নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের লালপুরে গ্যারেজে মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নাজমুল হোসেন (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ওয়ালিয়ার নান্দরায়পুর গ্রামের বটতলায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। সে পেশায় কসমেটিক ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের নান্দরায়পুর (বটতলা) গ্রামে মনসা পূজার অনুষ্ঠানে নাজমুল হোসেন মোটরসাইকেল গ্যারেজের সামনে যায়। এ সময় গ্যারেজের কর্মচারীরা নাজমুল হোসেনকে মোটরসাইকেলটি গ্যারেজ করতে বলে। এ নিয়ে গ্যারেজ মালিকসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে গ্যারেজের মালিক একই গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে জিয়াউর রহমানের (২৪) হাতে থাকা চাকু দিয়ে নাজমুল হোসেনকে ডান পায়ের উরুতে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক আত্মীয় আমির হোসেন নামে একজন মোটরসাইকেল যোগে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, নিহতের রাইট ফিমোরাল ভ্যাসেল (আর্টারি/ভ্যান) স্ট্যাব ইনজুরিতে (২.৫/৩ সেমি) অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সাধারণত এ ধরনের ইনজুরির ৫ মিনিটের মধ্যেই রক্তক্ষরণে একজন মানুষ মারা যেতে পারে।
নিহতের মা শবজান বেগম হাসপাতাল চত্বরে ছেলের জন্য আহাজারি করতে করতে বলেন, তিন বছর হলো ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। তার স্ত্রী রিমা খাতুনের পেটে বাচ্চা। এ অবস্থায় তাঁর ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চান নাজমুলের মা শবজান।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপেন্দ্রনাথ সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার কর্মকার বলেন, সন্ধ্যায় তাঁরা মন্ডপ ত্যাগ করার পরেই এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসে মৃত্যুর খবর পান।
   
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য নাজমুলের মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই গ্যারেজ মালিক জিয়াউর রহমান ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
What's Your Reaction?
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 









 
                                                                                                                                             
                                                                                                                                             
                                                                                                                                            

 
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            
