নন্দীগ্রামে জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা, ৮০ হাজার টাকায় গ্রাম্য সালিশে আপস
 
                                
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ৩ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। পরে এ ঘটনা ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপস করে দেয় গ্রাম্য মাতব্বররা। নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের মণিনাগ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ওই গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান বাবুর (৩৮) কুনজর পড়ে পাশের বাড়ির তিন সন্তানের জননীর প্রতি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর স্বামী মেয়ে জামাই বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ সুযোগে গভীর রাতে জিয়াউর রহমান বাবু জানালা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন সে চিৎকার করলে আশপাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে। সেসময় তৈয়ব আলীর ছেলে সিদ্দিকুর রহমান জিয়াউর রহমান বাবুকে ছুরিসহ আটক করে। পরে জিয়াউর রহমান বাবুর পরিবারের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেয়।
পরদিন শুক্রবার (৩১ এপ্রিল) রাতে ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আজিজুর রহমান ও কাতেম আলীর ছেলে আবির হোসেনের নেতৃত্বে গ্রাম্য সালিশ বসে। ওই সালিশে জিয়াউর রহমান বাবুকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে ৫০ হাজার টাকা ওই গৃহবধূর স্বামীকে দেওয়া হয়। বাকী টাকা তারা ভাগবাটোয়ারা করে নেয় বলে জানা গেছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) বিকালে সরেজমিনে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তারা কেউ ঘর থেকে বের হয়নি। গ্রাম্য মাতব্বরদেরও বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী জানায়, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা সত্যি কিন্তু আপস হয়েছে। তাই ওরা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চায় না। তবে জিয়াউর রহমান বাবুর শাস্তি হওয়া দরকার ছিলো।
কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই। আর ধরণ চেষ্টার ঘটনায় মাতব্বররা গ্রাম্য সালিশ কীভাবে করে?
What's Your Reaction?
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 









 
                                                                                                                                             
                                                                                                                                            

 
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            
